বার কোড দেওয়া আমন্ত্রণ পত্র : তৃণমূলের বিশেষ সভায় বিশেষ পদক্ষেপ

26th February 2020 হুগলী
বার কোড দেওয়া আমন্ত্রণ পত্র : তৃণমূলের বিশেষ সভায় বিশেষ পদক্ষেপ


বিরোধীদের টেক্কা দিয়ে এক ধাপ এগিয়ে তৃনমূল কংগ্রেস।পাটির কোন রনকৌসল বাইরে না বেরোয় সেই কারনে আগামী ২রা মার্চ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃনমূলের মিটিং অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সামনে পৌরসভা ভোট তার পর বিধানসভা কি ভাবে লড়বে দল তার  রনকৌশল ঠিক করতে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়ে হবে এই মিটিং। নতুন চমক এনেছে তৃনমূল। মিটিং হলে প্রবেশ করতে গেলে পেতে হবে ডিজিটাল বারকোড দেওয়া  কার্ড।  বিরোধীদের কাছে কোন তথ্য যাতে না পৌঁছায় তার জন্য এই ব্যবস্থা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চাইলেই আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না। দলের পক্ষ থেকে নাম লেখা ডিজিটাল বারকোর্ড দেওয়া কার্ড পাঠানো হয়েছে সমস্ত কর্মী নেতাদের কাছে।কার্ডের মধ্যেই লেখা থাকবে কত নম্বর গেট ও সিট। শুধু তাই নয় সামনের সারিতে  কোন নেতা, নেএী  বসবে সেটাও ঠিক করা আছে। ফরোয়ার্ডব্লক নেতা নরেন চাটার্জী বলেন তৃণমূল-বিজেপি এরা কর্পোরেট পুজির সেবাদাস  তাই কর্পোরেট ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল হয়েই নির্বাচন করবে ওই জন্য প্রশান্ত কুমার কে এনেছে তারপর কার্ড তৈরি করছে যাতে বাইরের লোকেরা না ঢুকতে পারে, বাইরের লোকেরা কেন যাবে কি প্রযোজনে যাবে।   কর্পোরেট  ক্রীতদাস কর্পোরেট ব্যবস্থাপনা ও পাটি পরিচালনা এবং পাটি জন প্রতিনিধি নির্বাচনে সবটাই  কর্পোরেট পূজিবাদি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাদের জনগণের দরকার নেই জনগনের মতের তার সঙ্গে কোনো প্রয়োজন দরকার নেই। জনগন তাদের সঙ্গে নেই বলে এই  সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

ছবি : এই বার কোড কার্ড ছাড়া প্রবেশাধিকার থাকছে না নেতাজী ইন্ডোরে আয়োজিত তৃণমূলের সভায়





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।